যথার্থ গীতার প্রণেতা
যোগেশ্বর সাধু শ্রী আড়গড়ানন্দ জী মহারাজ।।
জীবন পরিচয়
স্বামী শ্রী অড়গড়ানন্দ জী মহারাজ সত্যের সন্ধানে ইতস্ততঃ বিচরণ করতে করতে তেইশ বছর বয়সে ইংরাজী ১৯৫৫ সালের নভেম্বর মাসে পরমহংস স্বামী শ্রী পরমানন্দজীর শরণাপন্নে আসেন। শ্রী পরমানন্দ জীর নিবাস চিত্রকূট, অনুসূইয়া, সাতনা, মধ্যপ্রদেশ (ভারত) এর গভীর জঙ্গলে অবস্থিত, যেখানে হিংস্র জীব জন্তুর আবাসস্থল। এমন নির্জন অরণ্যে কোনো রকম ব্যবস্থারহিত ওনার নিবাসস্থান, কথিত আছে যে উনি একজন সিদ্ধ মহাপুরুষ।
পরমপূজনীয় পরমহংস জী'র আগমনের সংকেত কয়েক বছর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। যেদিন ওনার আবির্ভাব হয়, সেদিন পরমহংস জী'র ঈশ্বরের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়, যেটা উনি ভক্তদের জ্ঞাত করেন ও বলেন যে একটি বালক ভবসরিতা থেকে পারে যাবার জন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আছে, হয়তো খুব শীঘ্রই আসবে। তার ওপর দৃষ্টি পড়তেই বলে ওঠেন, এই সেই বালক। গুরুর নির্দেশ মেনে চলতে গিয়ে, সাধনার চরম উৎকর্ষে, পরমাত্মার প্রত্যক্ষ দর্শন করে, আপনি সেই ঐশ্বরিক আত্মার এক মহান মানুষ।
আপনার শিক্ষাগত কোন উপাধি নেই, কিন্তু ঈশ্বরের করুণার সঙ্গে, আপনি পূর্ণতা প্রাপ্ত করে মানবজাতির কল্যাণে ব্রত হয়েছেন........সর্বভূৎহিতকল্পে।' আপনি লেখনকে সাধন-ভজনের মধ্যে ব্যবধান হিসাবে বিবেচনা করেছেন, কিন্তু 'গীতিভাষ্য' এর প্রার্থনাকালে, 'বাস্তব গীতা', ঐশ্বরিক নির্দেশই একমাত্র উপলক্ষ।
ঈশ্বর আপনার মননে জানিয়েছেন যে আপনার সমস্ত প্রবণতাগুলি শান্ত হয়ে গেছে, স্রেফ ছোট্ট একটি ইচ্ছা অবশিষ্ট রয়েছে, গীতধর্মের অভিপ্রায়ের যথাযথ পুনপ্রকাশনা করা! প্রথম অবস্থায় আপনি এই ইচ্ছাকে ভজন দ্বারা কাটিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু.....ভগবানের আদেশের মূর্তরূপ হল – 'যথার্থ গীতা'। যথার্থ গীতার রচনাকালে ভাষ্যতে যেখানেই ত্রুটি হত, ভগবান সেখানেই উনি শুধরে দিতেন! পূজ্যশ্রীর 'শান্তঃ সুখায়' একটি কালজয়ী চিরন্তন সভ্যতা: সুখ প্রাপ্ত হয়ে চলেছে। আর্যাবত শুধু ভারতবর্ষেই নয়, বিশ্বের মানব সমাজের কল্যাণে রত, সংলগ্ন আছে।